৪র্থ বাংলাদেশ জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, ২০২১
১৪তম আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের ফলাফল প্রকাশের মাধ্যমে শেষ হল 4th Bangladesh Olympiad on Astronomy and Astrophysics এর সারাবছরের কার্যক্রম! এবারের আয়োজনে বিডিওএএ কমিটি নির্বাচিত ৫ জনের দলের প্রত্যেকে পদক পেয়েছে। একটি ব্রোঞ্জ সহ ৪ টি সম্মানী পদক পেয়েছে বাংলাদেশের ৫ জন!
– Adnan Bin Alamgir (ব্রোঞ্জ পদক) – Imdadullah Raji (সম্মানী পদক) – Sayed Shafaat Mahmud (সম্মানী পদক) – Turja Roy (সম্মানী পদক) – Jakia Tajnur Chowdhury (সম্মানী পদক)
উল্লেখ্য ব্রোঞ্জ প্রাপ্ত হচ্ছেন বাংলাদেশের ইতিহাসে জ্যোতির্বিজ্ঞানে পদক পাওয়া সর্বকনিষ্ঠ্য ছাত্র। বাংলাদেশ দল এবার বিশেষ করে প্র্যাক্টিকাল রাউন্ডে বেশি ভাল ফলাফল করে। বাংলাদেশ দলের এবারের পজিশন ৩২ তম যা প্রতিবছর সামনের দিকে এগোচ্ছে। BDOAA এর পক্ষ থেকে সকলকে অভিনন্দন।
বাংলাদেশ দলের টিম লিডারের দায়িত্বে ছিলেন প্রাক্তন IOAA প্রতিযোগী এবং ২০১৮ হতে টিম লিডার, ফাহিম রাজিত হোসেন এবং মোঃ মাহমুদুন্নবী। অবসারভার হিসেবে ছিলেন প্রাক্তন প্রতিযোগী এবং ট্রেইনার অর্ণব চৌধুরী। সুপারভাইজারের দায়িত্বে ছিলেন নূর মোহাম্মদ ইমরান এবং হাসনাত মোহাম্মদ নাঈম। বাংলাদেশে পুরো আয়োজনের ফ্যাসিলেটর হিসেবে ছিলেন এসিস্ট্যান্ট প্রোফেসর খান আসাদ।
৪র্থ বারের মত বাংলাদেশ জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের কার্যক্রম শুরু হয় ২০২১ এর শুরুর দিকে। জ্যোতির্বিজ্ঞান ভিত্তিক এই আয়োজনে করোনা চলাকালীন প্রথম রাউন্ডে অনলাইনে অংশগ্রহণ করে ৪০০ এর অধিক উৎসাহী স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী। সেখান থেকে ১২০ জন চূড়ান্ত প্রতিযোগী নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ন্যাশনাল রাউন্ড আবারো অনলাইনে। উল্লেখ্য ২০২০ সালের ন্যাশনাল রাউন্ড করা হয়েছিল ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)-এ এবং গত বছরও বাংলাদেশের দল সিলভার এবং ব্রোঞ্জ মেডাল পায়। ২০২১ অলিম্পিয়াডের তীব্র প্রতিযোগিতা শেষে শুরু হয় ৩য় ধাপের প্রস্তুতি– ন্যাশনাল ক্যাম্প। রেজাল্ট বিস্তারিত এখানে
৩৫ জন শিক্ষার্থীদের নিয়ে জুন মাসের ২১ তারিখ Summer Solstice এর দিন শুরু হয় ক্যাম্প যেখানে BDOAA এর অভিজ্ঞ এস্ট্রোনমি ট্রেইনারদের সহযোগিতায় শুরু হয় প্রব্লেম সল্ভিং এবং অনুশীলনের পালা। জ্যোতির্বিজ্ঞানের হাতেখরি থেকে কীভাবে স্কুল কলজের জ্ঞান দিয়ে জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বিভিন্ন ঘটনার ব্যাখ্যা করতে হয় তা শেখানো হয় শিক্ষার্থিদের। ন্যাশনাল ক্যাম্পের ১.৫ মাসের ক্লাসের পর চূড়ান্ত ১৫ জন সুযোগ পায় এক্সটেন্ডেড ক্যামে অংশগ্রহনের। ২ মাস এই ক্যাম্পে তারা শিখে জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানের সব উচ্চতর বিষয়। সেপ্টেম্বরে শেষ পরীক্ষার মাধ্যমে বাছাই করা হয় ৫ জন প্রতিযোগীকে যারা ১৪তম আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পায়।
কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটাতে অনুষ্ঠিত হয় ১৪তম ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াড অন অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স। আট দিনব্যাপী এই আয়োজন শুরু হয়েছে ১৪ নভেম্বর, চলে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত। বাংলাদেশ থেকে অংশ নেয় পাঁচ শিক্ষার্থী। তাঁরা হলেন রাজধানীর নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী তূর্য রায় ও ইমদাদুল্লাহ রাজি, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের সৈয়দ শাফাত মাহমুদ, ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজের আদনান বিন আলমগীর এবং সিলেটের মুরারি চাঁদ কলেজের শিক্ষার্থী জাকিয়া তাজনুর চৌধুরী। বাংলাদেশ দলের পৃষ্ঠপোষকতা করছে ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)। করোনা বিবেচনায় অনলাইনে বোগাটার সার্বিক প্রযোজনায় হাইব্রিড আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ দলের সকল প্রতিযোগিতা ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় আইইউবির কম্পিউটার ল্যাবে।
আইইউবির উপাচার্য তানভীর হাসানের বিশেষ পৃষ্ঠপোষকতায় এই আয়োজনের সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভৌত বিজ্ঞান বিভাগের অ্যাস্ট্রোনমি ও অ্যাস্ট্রোফিজিকস রিসার্চ গ্রুপ (আরজি)। আইইউবিতে অলিম্পিয়াড আয়োজনের বিস্তারিত এখানে।